ঢাকা ০৫:০৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এবার শীর্ষ নির্বাচনী কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করলেন ট্রাম্প

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১০:৫৭:২৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৮ নভেম্বর ২০২০
  • ১৫৫ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ক্ষমতায় বসার পর থেকে গত চার বছরে একের পর এক কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করে বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার ক্ষমতায় থাকার সময় ফুরিয়ে আসছে। আর মাত্র কয়েকদিন বাকি। তারপরেই নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতা গ্রহণ করবেন জো বাইডেন।

কিন্তু বিদায়ী প্রেসিডেন্ট হিসেবেও নিজের অবস্থান ধরে রেখে আরও এক কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করলেন ট্রাম্প। সম্প্রতি মার্কিন নির্বাচন বিষয়ক এক শীর্ষ কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। নির্বাচনের পর থেকেই ভোট জালিয়াতির অভিযোগ করে আসছেন ট্রাম্প। কোনভাবেই তিনি জো বাইডেনকে বিজয়ী হিসেবে ঘোষণা দিতে নারাজ।

কিন্তু তার সঙ্গে নির্বাচনী কর্মকর্তারা একমত হতে পারেননি। তার ভোট জালিয়াতির অভিযোগের বিরোধিতা করায় বরখাস্ত হয়েছেন ক্রিস ক্রেবস। বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, নির্বাচনের অখণ্ডতা নিয়ে ‘অত্যন্ত ভুল’ মন্তব্য করেছিলেন সাইবার সিকিউরিটি অ্যান্ড ইনফ্রাসট্রাকচার সিকিউরিটি এজেন্সি (এসআইএসএ) প্রধান ক্রিস ক্রেবস। সে কারণেই তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে।

গত ৩ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনের পর থেকেই ভোট জালিয়াতির অভিযোগ তুলে আসছেন ট্রাম্প। এই নির্বাচনে ৩০৬টি ইলেকটোরাল ভোট পেয়ে জয় নিশ্চিত করেছেন বাইডেন। অপরদিকে ট্রাম্প পেয়েছেন ২৩২টি ভোট।

মার্কিন গণমাধ্যমগুলোতে এর মধ্যেই বাইডেনকে জয়ী হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু নিজের পরাজয় কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না ট্রাম্প। তিনি নির্বাচনের ফলাফলকে চ্যালেঞ্জ করেছেন। এমনকি জো বাইডেনকে পরবর্তী সরকার গঠনে কোনো ধরনের সহায়তা বা ক্ষমতা হস্তান্তরেও ট্রাম্প প্রশাসনে তেমন কোনো তোড়জোড় দেখা যাচ্ছে না।

অপরদিকে, নির্বাচনী কর্মকর্তারা দাবি করেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে এবারের নির্বাচন ছিল সবচেয়ে সুরক্ষিত। ভোটে কোনো ধরনের কারচুপির অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন তারা।

এর আগে গত সপ্তাহে প্রতিরক্ষামন্ত্রী মার্ক এসপারকে বরখাস্ত করেন ট্রাম্প। সাবেক এই পেন্টাগন প্রধানের বিশ্বস্ততা নিয়ে সন্দেহ ছিল তার। সে কারণেই এসপারকে বরখাস্ত করা হয়েছে।

এদিকে সম্প্রতি এমন আশঙ্কা দেখা দিয়েছে যে, জানুয়ারিতে ক্ষমতা ছেড়ে যাওয়ার আগে ট্রাম্প হয়তো আরও বেশ কয়েকজন কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করতে পারেন। এই তালিকায় রয়েছেন সিআইএর পরিচালক গিনা হাসপেল এবং এফবিআইয়ের পরিচালক ক্রিসটোফার রে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

এবার শীর্ষ নির্বাচনী কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করলেন ট্রাম্প

আপডেট টাইম : ১০:৫৭:২৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৮ নভেম্বর ২০২০

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ক্ষমতায় বসার পর থেকে গত চার বছরে একের পর এক কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করে বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার ক্ষমতায় থাকার সময় ফুরিয়ে আসছে। আর মাত্র কয়েকদিন বাকি। তারপরেই নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতা গ্রহণ করবেন জো বাইডেন।

কিন্তু বিদায়ী প্রেসিডেন্ট হিসেবেও নিজের অবস্থান ধরে রেখে আরও এক কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করলেন ট্রাম্প। সম্প্রতি মার্কিন নির্বাচন বিষয়ক এক শীর্ষ কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। নির্বাচনের পর থেকেই ভোট জালিয়াতির অভিযোগ করে আসছেন ট্রাম্প। কোনভাবেই তিনি জো বাইডেনকে বিজয়ী হিসেবে ঘোষণা দিতে নারাজ।

কিন্তু তার সঙ্গে নির্বাচনী কর্মকর্তারা একমত হতে পারেননি। তার ভোট জালিয়াতির অভিযোগের বিরোধিতা করায় বরখাস্ত হয়েছেন ক্রিস ক্রেবস। বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, নির্বাচনের অখণ্ডতা নিয়ে ‘অত্যন্ত ভুল’ মন্তব্য করেছিলেন সাইবার সিকিউরিটি অ্যান্ড ইনফ্রাসট্রাকচার সিকিউরিটি এজেন্সি (এসআইএসএ) প্রধান ক্রিস ক্রেবস। সে কারণেই তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে।

গত ৩ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনের পর থেকেই ভোট জালিয়াতির অভিযোগ তুলে আসছেন ট্রাম্প। এই নির্বাচনে ৩০৬টি ইলেকটোরাল ভোট পেয়ে জয় নিশ্চিত করেছেন বাইডেন। অপরদিকে ট্রাম্প পেয়েছেন ২৩২টি ভোট।

মার্কিন গণমাধ্যমগুলোতে এর মধ্যেই বাইডেনকে জয়ী হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু নিজের পরাজয় কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না ট্রাম্প। তিনি নির্বাচনের ফলাফলকে চ্যালেঞ্জ করেছেন। এমনকি জো বাইডেনকে পরবর্তী সরকার গঠনে কোনো ধরনের সহায়তা বা ক্ষমতা হস্তান্তরেও ট্রাম্প প্রশাসনে তেমন কোনো তোড়জোড় দেখা যাচ্ছে না।

অপরদিকে, নির্বাচনী কর্মকর্তারা দাবি করেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে এবারের নির্বাচন ছিল সবচেয়ে সুরক্ষিত। ভোটে কোনো ধরনের কারচুপির অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন তারা।

এর আগে গত সপ্তাহে প্রতিরক্ষামন্ত্রী মার্ক এসপারকে বরখাস্ত করেন ট্রাম্প। সাবেক এই পেন্টাগন প্রধানের বিশ্বস্ততা নিয়ে সন্দেহ ছিল তার। সে কারণেই এসপারকে বরখাস্ত করা হয়েছে।

এদিকে সম্প্রতি এমন আশঙ্কা দেখা দিয়েছে যে, জানুয়ারিতে ক্ষমতা ছেড়ে যাওয়ার আগে ট্রাম্প হয়তো আরও বেশ কয়েকজন কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করতে পারেন। এই তালিকায় রয়েছেন সিআইএর পরিচালক গিনা হাসপেল এবং এফবিআইয়ের পরিচালক ক্রিসটোফার রে।